মানব সভ্যতা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির মূলে শিক্ষা সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে যা জাতিকে আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদাশীল করতে সহায়তা করে। উন্নতির কাঙ্ক্ষিত শিখরে আরোহণের একমাত্র উপায় হল যুগের উপোযোগী সুশিক্ষা। প্রগতিশীল সুষ্ঠ শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৭ সালে “ইউনিক পাবলিক স্কুলের” যাত্রা শুরু হয়। একাবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এ পথ চলা আজও অগ্রসরমান। এই জন্য আমি প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহর দরবারে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের প্রতি।
ইউনিক পাবলিক স্কুলে বর্তমানে প্লে হতে দশম শ্রেণির প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশা পাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে আইসিটি (ICT), শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সহ-পাঠ শিক্ষা যেমন সঙ্গীত, নৃত্য, স্কাউট, কাব, গার্ল-ইন স্কাউট, হলদেপাখি, গার্লস গাইড, আবৃত্তি, নাটক, উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণসহ ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ভিত মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পরিচালিত হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত করার লক্ষ্যে আমরা বিশেষ যত্ন নিয়ে থাকি। শিক্ষক ও অভিভাবকের সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীর আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আমরা অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত মত বিনিময় ও যোগাযোগ রক্ষা করি।
২০২০ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ দানের অনুমতির কার্যক্রম চলছে।
আগামী দিনগুলোতে যাতে আপনাদের প্রিয় “ইউনিক পাবলিক স্কুল” আরও সফল ও কার্যকর হতে পারে সেই জন্য আমরা আপনাদের সকলের কাছে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি। সেই সাথে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়তে পারলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।